মঙ্গলবার, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ

এ এম আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান।

বুধবার বিকেলে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায় মরিয়ম নগর গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দশ হাজার টাকা সমপরিমাণ ১০টি ভারী খাবার প্যাকেট উপহার দেওয়া হয়েছে।

পরে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে ৯টি পরিবারের মাঝে দুই হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ ও মসজিদুদ দাওয়াতে ১ বান চালের টিন উপহার দেওয়া হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু, রক্তসৈনিক শেরপুর এর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক শেরপুরের সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি এর পক্ষে মোহাম্মদ হামিম মোল্লা ও মুন্সী আশিক, রক্তসৈনিক শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক রায়হান হাবিব আকাশ, রক্তসৈনিক কিশোরগঞ্জের সমন্বয়ক সাকিব মিয়া, রক্তসৈনিক ঝিনাইগাতি এর সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া, রক্তসৈনিক শেরপুরের ওমেন টুম লিডার শাম্মী খন্দকার রিমি, রক্তসৈনিক চরমোচারিয়া ইউনিয়নের আহবায়ক তাহসান শাকিল, সদস্য আবু সাঈদ, ইমান আলী, তাপস, আলভী, স্বর্ণালি আক্তার, মেজবাহ প্রমুখ।

স্থানীয় শিলং মারাক বলেন আমাদের বাড়ী গুলো প্রত্যন্ত এলাকা হওয়া পাহাড়ি ঢলে আমাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এদিকে কেউ আসেনি, আমরা কোন সহযোগিতা পায়নি। তবে শেষ সময়ে হলেও আমাদের সহযোগিতা করার আপনাদের ধন্যবাদ।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের প্রতিনিধি মোহাম্মদ হামিম বলেন আমাদের বরাদ্দ কম তবুও চেষ্টা করেছি প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে ঘুরে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন টিমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সঠিক পরিবারের হাতে উপহার তুলে দিয়ে শেরপুরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর।

রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু বলেন আমরা আমাদের রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া খালাম্মার সঠিক দিক নির্দেশনায় ৪ অক্টোবর ২০২৪ সকালে বন্যার শুরুর দিন হতে বন্যা কবলিতদের উদ্ধার কাজ, রান্না করা খাবার বিতরণ, শুকানো খাবার বিতরণ, ভারী খাবার প্যাকেট বিতরণ এবং পুর্নবাসনের লক্ষে ৪৬ টি ঘর নির্মাণের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে রক্তসৈনিক ভারী খাবার প্যাকেট বিতরণ সম্পন্ন করা হলো। যেসকল মানবিক ভাই-বোন আমাদের রক্তসৈনিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে আর্থিক, শারিরীক ও মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি রক্তসৈনিক পরিবারের পক্ষ হইতে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন আমাদের রক্তসৈনিক সোনার ছেলে রক্তসৈনিক। আমরা রক্তসৈনিক পরিবার দেশের প্রতিটি দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিলাম আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ