
আবু শামা, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ক্যাফেটেরিয়ার ২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সেবামূলক ও মিডিয়া সংগঠনের কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই বছর। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেওয়া হয়নি কোন সিসি ক্যামেরা কিংবা নিরাপত্তাকর্মী। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। আবার এখানেই শিক্ষার্থীদের জন্য শরীরচর্চার সরঞ্জামাদি থাকায় সেটি বহিরাগতদের ব্যাবহার করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেখানে কোন নিরাপত্তা কর্মী নেই। আবার সংগঠনগুলোর ব্যাবহারের জন্য চারটি শৌচাগার এবং চারটি বেসিন দেয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা না থাকায় এবং বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতের কারনে কে-বা কারা প্রায় সবগুলো বেসিনের টেপ খুলে নিয়ে গেছে। আবার শৌচাগারগুলোর অবস্থাও বেহাল।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একাধিকবার এ বিষয়ে জানানো হলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। নিরাপত্তা না থাকায় আগের ক্রয়কৃত প্রায় ৫ লাখ টাকায় ১৭ প্রকারের যন্ত্রপাতি এবং সম্প্রতি ক্রয়কৃত আরও কিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াত শাওন বলেন, দীর্ঘদিন আগে আমাদের কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হলেও নিরাপত্তার অভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। এখানে নিয়মিতই বিভিন্ন জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। কক্ষগুলোর অবকাঠামোর কারণে সহজেই যেকেউ রুমে প্রবেশ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কমন স্পেসে রাখা জিমনেসিয়ামের যন্ত্রপাতি বহিরাগতের ব্যবহার করতে দেখা যায়। এমনকি বন্ধের দিনেও তারা এখানে চলে আসে। ফলে বিভিন্ন জিনিস এখান থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রক্তদাতা সংগঠন বন্ধু’র সভাপতি রাসেল মাহমুদ ভূইয়া বলেন, রুমের উপরের অংশ খালি থাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রুমে রাখা যাচ্ছে না। জিনিসপত্র রাখলে কিছুদিন পর রুমে গিয়ে সেগুলা পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করছে না। এতে ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। ফলে পূর্বের ন্যায় বাইরে বসে মিটিং করতে হচ্ছে।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এফ এম আব্দুল মঈনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার এস্টেট শাখার কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন।
এস্টেট শাখার কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই, এবিষয়ে নিরাপত্তা শাখা ভাল বলতে পারবে।
নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, আমাদের লোকবল সংকট আছে, এটা নিয়ে আমি প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলছি, আমরা চেষ্টা করতেছি স্বল্প সময়ের জন্য হলেও লোক নিয়োগ দেওয়ার।
যায়যায়কাল/১৫আগস্ট২০২২/কেএম