
রিয়াজ হোসেন: র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প একটি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক ২১ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১১:১০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারে যে, কুয়াকাটা দিক হইতে আগত একটি হলুদ-সাদা রংয়ের পিকআপে যোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে কিছু অবৈধ বিক্রয় নিষিদ্ধ শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত ধাতব পদার্থ তামার তার এবং এমএস শীট নিয়ে রওয়না করেছে।
প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা এর নের্তৃত্বে আনুমানিক রাত ০২:৪০ এর সময় পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানাধীন পটুয়াখালী টোলপ্লাজা থেকে ৫০ গজ দক্ষিণ দিকে তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপর নিয়মিত চেকপোস্ট করাকালিন সময় কুয়াকাটা দিক হইতে আগত একটি হলুদ-সাদা রংয়ের পিকআপকে থামার জন্য সংকেত দিলে পিকআপ থেকে ০৩(তিন) জন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম হলো ০১। মো. আল আমিন(২০), পিতা-মোহাম্মদ মিয়া, সাং-মালিপাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, ০২। মো. জসিম(২৮), পিতা-মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাং-মালিপাড়া, ০২নং ওয়ার্ড এবং ০৩। মো. কবির হোসেন(৩৪), পিতা-মৃত আ. মজিদ, সাং-উত্তর জাড়াখালী, ০৪নং ওয়ার্ড, সর্ব থানা-তালতলী, জেলা-বরগুনা। ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে পেশায় একজন ছাত্র, একজন ব্যবসায় এবং অন্যজন পিকআপ এর চালক হলেও অবৈধ চোরাই মালামাল বিক্রয় করাই তাদের প্রকৃত ব্যবসা। উক্ত আসামীর নিকট হতে ৬৬০(ছয়শত ষাট) কেজি তামা, যাহার অবৈধ বাজার মূল্য ৯,৯০,০০০(নয় লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা, শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত ৩৭৫(তিনশত পচাত্তর) কেজি এমএস এঙ্গেল শীট, যাহার অবৈধ বাজার মূল্য ৫৬,২৫০ (ছাপান্ন হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টকা এবং ০১ টি সাদা-হলুদ রংয়ের সিঙ্গেল কেবিন পিকাপ জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা আরো জানায় যে, অত্র থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় তাহারা দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত মালামাল ক্রয়/বিক্রয়ের মাধ্যমে চোরাচালন করিয়া আসিতেছে।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
যায়যায়কাল/২২সেপ্টেম্বর২০২২/কেএম