মুহাম্মদ সামাদ
বসন্ত এলো যে আজ ঘরে
বনে বনে কতো পাতা ঝরে
ফুল ফোটে পাখি গান করে
দখিনা বাতাসে– ভালোবেসে
চুপিসারে মনের মদিরে
তনুখানি গেছে ভরে।
লাজুক তোমার পায়ের আলতা
আগুন ছড়ায় হলুদ শাড়িতে;
এলো খোঁপা দোলে বেলী ফুলে
দোলনচাঁপার ধবল হাসিতে
কৃষ্ণচূড়া জ্বলে সিঁথির সীমন্তে
রূপ ভেসে যায় রঙিন বসন্তে!
ফাগুনের শিমুল পলাশ
নতুন সবুজ কচিপাতা
নরম কোমল ঠোঁটখানি
রাঙা চোখে ব্যাকুল ইশারা
কোকিলের অই কুহুতানে
থিরথির কাঁপে শিহরণে।
বসন্ত উন্মাদ হয়ে ছোটে
বারণ মানে না কোনো– শুধু
প্রেম মানে উষ্ণ আলিঙ্গনে;
তোমার আমার দেহলতা
প্রেমের খেলায় মধুর মিলনে
ঢেউ তোলে সাগর গহীনে।
রোদের নাচন তানে তানে
চিরসুন্দরের প্রাণে প্রাণে
চিরযৌবনের টানে টানে
পাগলা হাওয়া গানে গানে
উতলা দেহের তীব্র ঘ্রাণে
দুবাহু বাড়ায়ে মুগ্ধ নিমন্ত্রণে
তোমায় আমায় পূর্ণ করে
বসন্ত এলো যে আজ ঘরে।