নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অস্তিত্ব আর বঙ্গবন্ধু এক সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। আজ মঙ্গলবার যুবলীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ অন্যরা ছিলেন।
পরশ বলেন, একটি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন, যা তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে দেখে আসছিলেন, তা সমন্বিত আকারে তিনি বলেছেন ৭ই মার্চের ভাষণে। বিভ্রান্ত বাঙালি জাতি সেদিন পেয়েছিল পথের দিশা। এ ভাষণে বাঙালির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়েছে। জনগণের গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তি এবং স্বাধীনতার স্বপ্নের প্রকাশ এ ভাষণ। তাই আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অস্তিত্ব আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন এক সূত্রে গাঁথা।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সঙ্গে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগনির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সঙ্গে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্ম সমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, করোনার সময় যখন মানুষ ঘর থেকে বের হয় নাই, মানুষের ধান কাটার জন্য লোক পাচ্ছে না তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ, ছাত্রলীগ করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। তখন যদি এ মানবিক কাজগুলো আমাদের আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো না করতো তাহলে মানুষগুলো সমস্যায় পড়ে যেতো। বঙ্গবন্ধুর যে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশের যে চিন্তা কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিয়ে।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।