মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৈশ্বিক রপ্তানিযোগ্য উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন রাবি অধ্যাপকের

মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, রাবি প্রতিনিধি: ”কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত” গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এই খনার বচনটি অধিক পরিচিত। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কলা রপ্তানিতে দেশের চাষিরা যেখানে ব্যর্থ সেখানে আশার আলো দেখাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক। অত্র বিভাগের প্ল্যান্ট মলিকুলার বায়োটেকনোলজি ল্যাবে অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের কলার চারা উদ্ভাবন করেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার উন্নত জাতের এই কলার চাষ সম্প্রসারণের জন্য আমন্ত্রিত চাষীদের মধ্যে চারা বিতরণ করেন।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. শাহেদ জামান।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমুল উদ্ভাবন একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একদল উদ্ভাবনী গবেষক ও প্রয়োজনীয় গবেষণাগার। কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন। আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছে তা অন্যদেরও উদ্ভাবনী গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে। আগামীতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা আশা রাখি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা গবেষণায় নিরন্তর রত রয়েছেন। তাঁদের গবেষণায় সাফল্যের সর্বশেষ স্বাক্ষর এই উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন। এই কলা উচ্চফলনশীল হওয়ায় তা মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বিভাগের গবেষণাগারগুলিতে চলমান গবেষণা থেকে অচিরেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অত্র বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ