পারভেজ আলম আদেল, স্টাফ রিপোর্টার: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে ভিআইবি ব্রিকস নামে অবৈধ ইটভাটার মালিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটার নেভানো আগুন পুনরায় জ্বালিয়ে শ্রমিক দিয়ে হরদম ইট তৈরি কাজ করাচ্ছেন ভাটার মালিক হালিম মিয়া।
বুধবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের আওতাধীন শাহবাজপুর চাতল বিলে একাধিক স্থানে ফসলি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে অবৈধ ইটভাটা ভিআইবি ব্রিকসে ৮টি ট্রাক্টর করে মাটি নেওয়া হচ্ছে। সেই মাটি দিয়ে ইটভাটায় শ্রমিকরা পুরোদমে ইট তৈরি করছেন।
জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ভিআইবি ব্রিকস নামে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মালিককে লাখ টাকা জরিমানা করে ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় অবৈধ ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দিয়েছিল।
অপর দিকে শাহবাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী প্রভাব খাটিয়ে চাতল বিলে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ১০টি ড্রাম ট্রাকে করে মহাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে। এতে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে কৃষি জমি ও ঢাকা সিলেট মহাসড়ক। এই মাটি মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে পড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজাবাড়িকান্দি স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, কেননা যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয় এক মুসল্লির দাবি নামাজ পড়তে গেলে ধূলার সাগর পাড়ি দিয়ে যেতে হয় মসজিদে, অবৈধ এসব ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে আমারা প্রয়োজনীয় কাজে বাহির হলে জামা কাপড়সহ স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক হালিম মিয়া ও হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করলে মাটি কাটা বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, উপজেলার এসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। তারপরও কেউ আইন লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
