সোমবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অপরাধ দমনে আরএমপি বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের সাফল্য

পাভেল ইসলাম মিমুল, উত্তরবঙ্গ: বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব হলো জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,অপরাধ দমন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

এসব দায়িত্বকে নিষ্ঠা ও মানবিকতায় সাফল্যের অনন্য নজির মাদক নির্মূল, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ দমনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন ও রূপান্তরিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ হয়ে উঠেছেন একটি প্রগতিশীল, জনবান্ধব ও নির্ভরযোগ্য পুলিশ প্রশাসনের উজ্জ্বল প্রতীক।

সদা হাস্যোজ্জ্বল,মিষ্টভাষী ও মানবসেবায় নিবেদিতপ্রাণ এই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন।

বেলপুকুর থানা,চন্দ্রিমা থানা,বোয়ালিয়া থানার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি অপরাধ দমনের পাশাপাশি জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। প্রশাসনিক দক্ষতা,নৈতিকতার প্রতি অঙ্গীকার এবং সাধারণ মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতির কারণে তিনি এলাকায় একজন আস্থাশীল প্রশাসক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে থানাটিতে পুলিশের প্রতি জন-আস্থা ও নিরাপত্তা বোধ বেড়েছে, যা অতীতে অন্য কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদানের মধ্যেই তার সৎ চিন্তা,পেশাদারত্ব ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বদলে গেছে থানা গুলোর চিত্র ও পুলিশের আচরণ। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নেন একাধিক যুগোপযোগী পদক্ষেপ। ফলে বোয়ালিয়া থানা এখন জনতার আস্থার এক উজ্জ্বল ঠিকানা।

ওসি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে থানার এসআই, এএসআই ও নারী পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করে প্রমাণ করেছেন, ‘পুলিশ জনতার সেবক,জনতাই পুলিশের শক্তি।’

রাজনৈতিক চাপ ও জটিলতা উপেক্ষা করে তিনি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের যে উদ্যোগ নিয়েছেন,তা পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

শুধু বড় অপরাধ বা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মামলাতেই নয়,সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানেও ওসি আবুল কালাম আজাদ পরিচয় দিয়েছেন অসাধারণ মানবিকতার।

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে এক বৃদ্ধা মহিলার পাওনা টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন।বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে ওসি আবুল কালাম আজাদ নিজে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির করে দীর্ঘ ১ ঘণ্টা বৈঠকের পর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হয় পাওনা টাকার বিরোধ।

অভিযোগকারী বলেন,“ওসি স্যার খুব ভালো মানুষ। তিনি আমার কথাটি গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন এবং দ্রুত সমাধান করে দিয়েছেন। আজকের দিনে এমন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসলাম শার্হ বলেন,ওসি আবুল কালাম আজাদ শুধু একজন প্রশাসক নন; তিনি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ একজন সেবক। আইনের শাসন,মানবিকতা,এবং প্রশাসনিক দক্ষতার সম্মিলনে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনের একজন আদর্শ কর্মকর্তা। তার কাজ ও নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে বোয়ালিয়া থানাকে একটি মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলবে।

রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো: শফিকুল আলম জিটু বলেন,ওসি আবুল কালাম আজাদের আচরণে নেই অহংকার বা দূরত্ব। থানায় আগত প্রতিটি মানুষের অভিযোগ শোনেন মনোযোগ দিয়ে। কোথাও অন্যায় হলে কঠোরতা,আর সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ সহানুভূতি—এই নীতি নিয়েই চলছে তার নেতৃত্ব। এর ফলে বোয়ালিয়া থানায় এখন মানুষ আসে ভরসা নিয়ে, ভয় নিয়ে নয়।

একান্ত আলাপচারিতায় ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান স্যারের দিকনির্দেশনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাই একসঙ্গে কাজ করলে সমাজে শান্তি ফিরবে। মানুষের সেবা করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। যত দিন বাঁচব, তত দিন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান স্যার থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, প্রশাসনিক কাঠামো ও নাগরিক সেবা উন্নয়নের দিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ