শনিবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আদালতের আদেশ না মানায় চট্টগ্রামের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে শোকজ

অলিউল্লাহ খান, স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম: অর্থঋণ মামলায় আদালতের আদেশ পরিপালন না করায় চট্টগ্রামের এক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন আদালত। তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান।

বুধবার এই আদেশ দেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

যায়যায়কালকে তিনি বলেন, দুবার আদেশ প্রদান করা হলেও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বন্ধকি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের টাকা বাদী ব্যাংকের বরাবরে অবমুক্ত করেনি। মূলত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার সহযোগিতা এবং আদালতের আদেশ অবমাননার কারণে ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় আটকে আছে।

রেজাউল করিম জানান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকল বাহা মৌজার দুটি দাগের জমির মালিক আবুল বশর। জমিগুলো তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি খাতুনগঞ্জ শাখার কাছে বন্ধক রেখে ঋণগ্রহণ করেছিলেন। আবুল বশর ঋণ খেলাপি ব্যাংক ৬৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩২ টাকা আদায়ের দাবিতে এই মামলা করেছিল। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এক দরখাস্তের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত ওই দুই দাগের জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ রোয়েদারদের অর্থ বাদী ব্যাংকের বরাবর অবমুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ওই আদেশ পালন না করায় বাদী ব্যাংকের আবেদনক্রমে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এই টাকা বাদী ব্যাংকের বরাবর অবমুক্ত করার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবু রায়হান সেই টাকা অবমুক্ত না করে একটি ব্যাখ্যা দাখিল করেন। তার ব্যাখ্যায় দেখা যায়, ওই দাগের টাকা আবুল বশরের নামেই প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু আদালতের আদেশ না মানায় আবুল বশর উপস্থিতির মাধ্যমে এলএ শাখার ভাউচার এবং বাদী ব্যাংকের নামে নামজারি খতিয়ান প্রস্তুতির মাধ্যমে এলএ ভাউচার উত্তোলন এবং ব্যাংকের নামে নামজারি খতিয়ান প্রস্তুতির মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড সংশোধন দরকার বলে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

আদালতের আদেশ পালন করা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের অবশ্যক ও দায়িত্ব। ফলে বিবাদী কিংবা অন্য কোন দাবিদার আপত্তি না থাকা সত্ত্বেও আদালতের আদেশ মোতাবেক বাদী ব্যাংকের বরাবরে ওই টাকা অবমুক্ত না করে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা আদালত অবমাননাকর। এই কারণেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *