মঙ্গলবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

কনকনে শীতে কাঁপছে বৃদ্ধ দম্পতি, মার্কেটের বারান্দা আশ্রয়স্থল

এম. নুরুল আলম সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আবুল কাশেম-জাহানা বৃদ্ধ দম্পতি। ভাত খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই চোখে মুখে ভেসে উঠলো অসহায়ত্ব, বললেন নানান কথা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা এই দম্পতি পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জনক। আবুল কাশেম এক সময় পাতিলের নৌকায় কাজ করতেন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন,নিজের ভিটা বলতে কিছুই নাই। অভাব আর অনটনে নিখোঁজ হয়েছে বড় ছেলে ও মেয়ে।

ভিক্ষার থালা নিয়ে হাঁটছেন অজানা পথে। ছোট ছোট তিন তিনটা বাচ্চা নিয়ে এখন তাদের মাথাগুজার ঠাই হচ্ছে সুপার মার্কেটের বারান্দা। অযত্নে অবহেলায় বড় হচ্ছে তাদের সন্তানেরা। রোগাক্রান্ত ক্লান্ত শরীরে বসে আছেন ঘুমানোর অপেক্ষা কখন শহরের ব্যস্ততা কমবে? খালি হবে মার্কেটের বারান্দা।জাহানা বেগম কানে কম শুনে দেখতে পাগলের মত প্রায় তিনি বলেন, রুটি খেয়ে জীবন বাঁচে, ভাত মাছ খাওয়া শুধুই স্বপ্ন। গ্রামবাসী মায়া করে কিছু টাকা দিয়েছিলেন ঘর বানানোর জন্য, সাথে ভিক্ষা করা টাকা সব মিলিয়ে ২০ হাজার তবে জায়গার অভাবে ঘর আর হলো না।

উপজেলা ডাকবাংলা মার্কেটের রিপন মিয়া সহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চোখের সামনে দেখছি বছরের পর বছর কষ্ট করছেন এই পরিবারটি। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে মার্কেটের বারান্দায় একমাত্র তাদের শেষ আশ্রয়।

আবুল কাশেম বলেন, ঘরে ঘরে তিন/চারজন সরকারি ভাতা পায় কিন্তু আমার বেলায় কেউই কোন সহযোগিতা করে না।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তাদেরকে সরজমিনে গিয়ে সহযোগিতা করব।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *