
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অন্তর্গত পবনাপুর এফ.এম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়টিতে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) এ.টি এম শরিফুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্তের ভারে আক্রান্ত, দ্বন্দ্ব -কলহে প্রায় শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে,উক্ত বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক খন্দকার আবু দাউদ মোঃ খালেক ও পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া ২০১৫ ইং সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সহকারী শিক্ষক বিএসসি(গনিত) ও অফিস সহায়ক (পিয়ন)পদে নিয়োগ দেন।
উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধিসম্মত না হওয়ায় নিয়োগকৃত
শিক্ষক/কর্মচারীদের ব্যানবেইজ প্রেরন করলেও তারা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এর কপি গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট সহি/স্বাক্ষরের জন্য প্রেরন করেন।
নিয়োগের বিষয়টি ভুয়া,ব্যাকডেট ও সরকারি বিধিবহির্ভূত হওয়ায় তিনি স্বাক্ষর না করে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ফলে বিদ্যালয়টিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদসহ নানা জটিলতা ও অন্তদ্বন্ধে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
এমতবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সর্বসম্মতিক্রমে সহকারী শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়।তিনি অত্যান্ত সততা ও দক্ষতার সাথে বিদ্যালয়টি কার্যক্রম শান্তি,শৃংখলা ভাবে পরিচালনা করায় ফিরে এসেছে শিক্ষার মান ও বেড়েছে কাংখিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পর্কে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল মাজেদ তুহিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন-অতীতে ব্যাকডেটে ভুয়া নিয়োগ বানিজ্য করেন সহকারী (মৌলভী) শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস, কমল সরকার ও এটিএম শরিফুল ইসলাম মিলন প্রায় ২০/২৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমার নিকট ২ জন লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। বিধায় তারা এ দুর্নীতিকে আড়াল করতে ও পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানা ফন্দি-ফিকিরসহ ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
এ ছাড়া আবারও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করতে নিজেকে ভারপ্রাপ্তের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
প্রতিষ্ঠানটি যাতে আর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত না হয়, সে লক্ষ্যে নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন অভিভাবক মহল