শনিবার, ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী

এম, নুরুল আলম সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গভীর রাতে গৃহবধূ মনি চৌধুরীকে (২২) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে তিনি আগেই মারা গেছেন জানতে পেরে পালিয়ে যান তারা সবাই।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গৃহবধূর গলায় রহস্যজনক চিহ্ন রয়েছে তাই মরদেহ নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মহাব্বত চৌধুরীর মেয়ে মনি চৌধুরী। তিন বছর আগে একই গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মেহেদীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের মুসকান (৩) একটি কন্যা সন্তান আছে।

নিহতের বাবা মো. মহাব্বত চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় মনি হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন।
তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে মনিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মনিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মহাব্বত চৌধুরী তার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা ঘটতে পারে। তবে মনির স্বামী মেহেদী উপার্জন করতেন না, এ নিয়ে তার শ্বাশুড়ি প্রায়ই মনিকে বকাঝকা করতেন। এ ছাড়া মেহেদীর অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এদিকে ঘটনার পর থেকে মনির তিন বছরের মেয়ে মুনতাহারসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

নবীনগর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক যায় যায় কাল কে বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে নিহত মনির গলায় (ফাঁসি) আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মহাব্বত চৌধুরী তার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন, আমরা একটি ইউডি মামলা নিয়েছি।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ