রবিবার, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে বিজয় মেলায় ক্রেতাদের পছন্দ মৃৎশিল্প সামগ্রী

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 36;

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কাজীর দেউরী শিশু পার্কে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে বসেছে নানা পণ্য সামগ্রীর শতাধিক স্টল। এসব স্টলের মধ্যে মাটির তৈরী মৃৎ শিল্পের স্টলটি সবার নজর কড়েছে। নজর কাড়া মাটির জিনিস ফুলদানি, ব্যাংক, জগ, গ্লাস, প্লেট, হাঁড়ি-পাতিল কী নেই! নানা বয়সী মানুষের ভিড় মৃৎশিল্প সামগ্রীর স্টলে। দরকষাকষি যেমন বিক্রিও হচ্ছে তেমনি।

ছয় দিনের মেলার প্রথম দিন বুধবার সন্ধ্যায় বেচাকেনায় জমে উঠে পণ্যের পসরায় সাজানো স্টলগুলোতে।

কথা হয় ‘চাঁদপুর মৃৎশিল্প’ নামের স্টলের মোহাম্মদ মোশাররফের সঙ্গে। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মেলা, মাত্র ছয় দিন। তাই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

অনেকে ভিড় এড়ানোর জন্য সুবিধাজনক সময়ে কেনাকাটা সারতে আসছেন সপরিবারে। আশাকরি, ভালো বিক্রি হবে।


গৃহিণী জেসমিন সুলতানা চৌধুরী পছন্দ করেন মাটির তৈরি দৃষ্টিনন্দন টব। দরদাম করে ৫০০ টাকায় কিনে নেন একটি।

তিনি জানান, জব্বারের বলীখেলার মেলা আর বিজয় মেলা আমাদের ঐতিহ্য। সমস্যা হচ্ছে বলীখেলার মেলার নির্দিষ্ট তারিখ আছে। সারা দেশের কুটির শিল্প, গৃহস্থালি সামগ্রী ওই মেলায় পাওয়া যায়। শতাধিক স্টল বসেছে এবারের বিজয় মেলায়। বেশিরভাগ স্টলে পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অনেক তরুণ শখের বশে দোকান দিয়েছেন মেলায়। সবার আশা ভালো বিক্রি হবে।

চট্টগ্রামে মেলা হবে আর নানা ফলের আচার থাকবে না তা তো হয় না। হ্যাঁ মেলার পূর্বপ্রান্তে দেখা গেল সেই আচারের স্টলটি। টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের আচারপ্রেমীরা ঢু মারছেন সেই স্টলে। মুড়ি, মুড়কি, তিলের খাজা, গজা, বাতাসা, চনাচুর, বাদামভাজা, চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি মুখরোচক খাবারের স্টলও আছে বেশ। দক্ষিণ প্রান্তে দেখা গেল বগুড়ার দইঘর। মাটির হাঁড়ি, পাতিলে বিখ্যাত দই কিনতে ভিড় করছেন ভোজন রসিকরা।

বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব আহমেদ নেওয়াজ বলেন, ১৯৮৯ সালে যেখানে বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল সেখানে এবারের বিজয় মেলা উদ্বোধন হলো। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকের ইচ্ছায় এবারের মেলার আয়োজন।

সরকার এ মেলা আয়োজনে আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। এটা সবার মেলা, জনগণের মেলা। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বই, চব্বিশে কী হয়েছিল সেই বিষয়গুলো প্রজন্মকে জানানোর জন্য এ মেলার আয়োজন। এখানে আমাদের অনেক স্মৃতি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ

bnen