
মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ ধাম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চন্দ্রনাথ ধাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
এ সময় তারা বলেন, সম্প্রতি চন্দ্রনাথ ধামে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা চলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এসব গুজব প্রচার করা হয়েছে। চন্দ্রনাথ ধামে মসজিদ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই এবং কখনো ছিলও না। এখানে হাজার বছরের পুরনো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল করছে।
তারা আরও জানান, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে যারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্দির পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল আল মামুন, ওসি মুজিবুর রহমানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানায়, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত বিভিন্ন মন্দির উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থস্থান। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থী এখানে পূজা-অর্চনা করতে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সীতাকুণ্ডবাসী সমর্থন করে না।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে জানায়, চন্দ্রনাথ মন্দির এলাকায় মসজিদ নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার ছড়িয়ে সীতাকুণ্ডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যা যা করতে প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানান।
জেলা প্রশাসক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বলেন,সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে। ধর্ম-বর্ণের ভিন্নতা যেন বিভেদের কারণ না হয়ে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে।