
মো. রিপন মিয়া, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামিরা ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার চর কাতলামারী গ্রামের সাইদুল ইসলামের পরিবারের সাথে প্রতিবেশি ময়েজ উদ্দিনের পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২০ অক্টোবর সকালে ময়েজ উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন সহ আরও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী হাতে লাঠি, লোহার রড, শাবল, ধারালো ছোরা, দা, কেটা, বল্লম ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সাইদুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ সময় সাইদুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলাম, ভাতিজা বউ নাছিমা বেগম তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ময়েজ উদ্দিনের হুকুমে অন্যরা তাদের হাতে থাকা ছোরা দিয়ে মাজেদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে মাথার ডান পাশে কোপ মারে জখম করে। তাদের আঘাতে মাজেদুল ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে ময়েজ উদ্দিন গংদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, শাবল দ্বারা এলোপাথারি মারতে থাকে। ওই সময় সাইদুল ইসলামের ভাতিজার বউ নাছিমা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এসময় আহতদের চিৎকারে বাড়ির অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে এলোপাথারি মারপিট করা হয়।
ময়েজ উদ্দিনের লোকজনের হামলায় মাজেদুল ইসলাম, নাছিমা বেগম, ওমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম ও আজাদ মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। সেখানে মাজেদুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে মাজেদুল ইসলামের অবস্থা খুবই আশংকাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানায়।
এ ঘটনায় সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৩ অক্টোবর ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এদিকে নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আলী বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।