কবির হোসেন, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার সোহাগপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা।
গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, হিন্দু সেজে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ১০ জনের মধ্যে আটজনই নারী।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত হাইয়েস মাইক্রোবাস এবং গ্রিল কাটারসহ ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তাসলিমা (৩২), আসমা বেগম (৩০), আলেয়া (৩৭), তাসলিমা (৩২), সোনিয়া আক্তার (২১), রাফিয়া আক্তার (২৬) ও সুরাত মিয়ার (৩৮) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামে।
এ ছাড়া, আকলিমা বেগম (৪০) একই উপজেলার সরাইল, জুলেখা বেগম (৩১) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ও সেলিম সরকার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১০ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির উদ্দেশ্যে গাজীপুরের সালনা থেকে তারা মির্জাপুর এসেছিল।
নারী ডাকাত সদস্যরা মাথায় সিঁদুর, কপালে তিলক ও হাতে শাঁখা-পলা পরে ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করতো।’
‘নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করতে তারা বিভিন্ন সময় হিন্দু বা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী বোঝাতে সে রকম পোশাক পরতো,’ বলেন তিনি।
সাইফুল আর বলেন, ‘এই দলের সঙ্গে আরও কারা জড়িত সেটি খুঁজে বের করতে পুলিশ তদন্ত করছে।’
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে ডাকাতির মামলা দায়ের করেছেন।