শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

থানচিতে রিলং পোয়েঃ উৎসবের মৈত্রীময় পানি ছিটিয়েছে তরুণ-তরুণীরা

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইয়ের অন্যতম উৎসব হচ্ছে রিলং পোয়েঃ। যা এক অপরকে মৈত্রীময় পানি ছিটিয়ে পুরোনো দিনের গ্লানি মুছে নতুন দিনকে বরণ করা হয়। “সাংগ্রাই” পোয়েঃ এর উৎসবমুখর পরিবেশে মৈত্রী পানি ছিটিয়ে মেতে উঠেছে বান্দরবানের থানচিতে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।

শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্মিত মিনি ষ্টেডিয়াম মাঠে থানচি উপজেলা মাহা সাংগ্রাই পোয়েঃ উদযাপন কমিটির আয়োজনে “পুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলে, স্ব-জাতির মুক্তির দিশা তরুণদের কোলে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম উৎসবের রিলং পোয়েঃ অনুষ্ঠানে মৈত্রীময় পানি বিনিময়ে মেতে উঠেন তরুণ-তরুণীদের। সেখানে পাহাড়ি বাঙালির বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিশুসহ সকল শ্রেণির পেশার মানুষের অংশ নেন।

রিলং পোয়েঃ উৎসবে যোগ দিয়ে দুপুর থেকে দলে দলে মারমা তরুন-তরুণীরা নির্ধারিত মঞ্চে অবস্থান করেন। সেখানে চারিদিকে মারমা সঙ্গীতের মূর্ছনা, আর নাচ-গানে আনন্দে মেতে উঠে শিশুসহ সবাই। শত শত পাহাড়ী-বাঙালী মৈত্রী পানি বর্ষণে উপভোগ করেছেন। সেখানে মারমা আদিবাসীদের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গানের নাঁচ পরিবেশন করে উৎসব অঙ্গনকে মাতিয়ে রাখেন তরুণ-তরুণীরা।

পুরাতন বছরকে পেছনে ফেলে আসে নতুন বছর, আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রিলং পোয়েঃ মাধ্যমে পাহাড়ের মারমা’রা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন। পাহাড়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণের এই উৎসব পালন করে থাকে। ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রায়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে বৈসাবি হলেও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মারমারা বর্ষবরণের এই উৎসবকে সাংগ্রাই বলে থাকে।

রিলং পোয়েঃ মাইদেক মৈত্রীয় পানি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে রিলং পোয়েঃ পর্বের শুভ উদ্বোধন করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা (পকশৈ) প্রমুখ। এছাড়াও রেমাক্রী ইউপির চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি), নুমংপ্রু মারমা’সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিভিন্ন গ্রাম থেকে তরুণ-তরুণী, শিশুসহ পাহাড়ি বাঙালির বিভিন্ন শ্রেণির পেশা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *