
আল জোবায়ের, স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটসিয়া ইয়ুথ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আপরাইজিং কাপ টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এ সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পান দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( হাবিপ্রবি) এগ্রিকালচারাল এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌমিক আহমেদ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে সৌমিক আহমেদ। এজন্য তাকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার দেওয়া হয়।টুর্নামেন্টের সার্বিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাকে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার দেওয়া হয় ও ম্যান অফ দ্য ফাইনাল এর ট্রফি প্রদান করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এনামুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুব সংগঠক ফজলুল হক খান, ক্রীড়া সংগঠক সাহরাজ আলম সনি এবং নওগাঁ জেলা আইনজীবী সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্রিকেটসিয়া ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোহাগ গাজীউল।
সৌমিক আহমেদ বলেন “ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আমি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি শুধু একটি স্বীকৃতি নয়, বরং আমার দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং অদম্য স্পৃহাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
নওগাঁ জেলার বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬ এবং অনূর্ধ্ব ১৮ এবং বিভাগীয় পর্যায়ের দলে নিয়মিতভাবে খেলার অভিজ্ঞতা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ক্রিকেট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ আমাকে আরও পরিণত করেছে এবং আত্মবিশ্বাসী করেছে।
আমার এই যাত্রায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগ সবসময় আমার পাশে থেকে আমাকে দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা দিয়েছেন। তাদের এই সহায়তা ছাড়া আমি আজকের এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না।
আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক দিকনির্দেশনা একজন খেলোয়াড়কে তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ক্রিকেট আমার স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতেও আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও দেশকে গৌরবের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।”