মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

নবীনগরে নারী কর্মচারীকে অশালিন মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িযার নবীনগর পৌরসভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখার বিধিমোতাবেক কিছু শূন্যপদে লোক নিয়োগে মেয়র শিব শংকর দাস এর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলায় পৌরসভার কর্মরত এক নারী কর্মচারীকে অশালীন উক্তি করে অনৈতিকভাবে অস্থায়ী চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেন মেয়র।

এর প্রতিবাদে গতকাল সোমবার(২৬/১২) মানববন্ধন কর্মসুচী পালন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরবারে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা যায়, পৌরসভার ‘সহকারী কর আদায়কারী’ ‘হিসাব সহকারী’ ‘টিকাদানকারী(পুরুষ)’ ও টিকাদানকারী (মহিলা) ’এই চারটি শূণ্য পদে চারজন লোক নিয়োগের নিমিত্তে গত ২০ সেপ্টেমম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পৌর কর্তৃপক্ষ।

সহকারী কর আদায়কারী পদে প্রার্থী সুমাইয়া ইসলাম লাকী ও টিকাদানকারী (মহিলা) পদে প্রার্থী শারমিন আক্তার মেয়রের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরে পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক বরবারে দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তারই প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়। এতেই মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস রাগান্বিত হয়ে নানাহ্ অশালিন ও অমার্জনীয় উক্তি করে অস্থায়ী ভিত্তিতে পৌরসভায় কর্মরত সহকারী কর আদায়কারী পদে স্থায়ী নিয়োগ প্রার্থী সুমাইয়া ইসলাম লাকীকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

সুমাইয়া ইসলাম লাকী গত তিন বছর যাবৎ ওই পৌয়সভায় মাষ্টাররোলে কর্মরত অবস্থায় থেকে কর আদায় বিভাগে দেড়বছর যাবক কাজ করে আসছেন। তিনি বলেন,আমার আবেদনে কোন ক্রুটি ছিল না,মেয়র ও আমার চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম ইসলাম এর সাথে রাজনৈতি মতবিরোধের জের ধরে আমাকে নাকচ করেছেন,তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন ‘ওকেতো মাষ্টাররোলেই রাখতে চাই না,আবার চাকুরী দিব, ওর চাচা আমার অনেক ক্ষতি করেছে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন মেয়র মোটা অংকের বিনিময়ে উনার পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমাদের আবেদন বিনা কারনে নাকচ করেছেন।

এ ব্যাপারে মেয়র শিব শংকর দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার পৌরসভায় মাষ্টাররোলে অনেক পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করেন এদের আলাদা বিভাগ ও কর্মকতা রয়েছে। প্রতিদিনের হাজিরা ভিক্তিক এসব কর্মীদের দেখবাল তারাই করেন। আমি এগুলি দেখিনা ।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক স্মারকলিপি’র প্রাপ্তী স্বীকার করে বলেন,স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ