রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মমিনুল হক রুবেল, নবীনগর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা জানান, বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একটি প্রভাবশালী চক্র হেনস্থা করার জন্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন গত জুন মাসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে এসে নথিপত্র ঘেটে এর সত্যতা পায়নি। এরপরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে চক্রটি।

এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি করেন।

বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা জুলেখা খাতুন বলেন, একজন শিক্ষকে হুমকি দেয়া মানে সকল শিক্ষককে হুমকি দেয়া। আমাদেদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোটাই মিথ্যা। একটি মহল বিদ্যালয়ের পদে আসার জন্য এমন কাজ করছে। আমরা চাই বিদ্যালয়ে এখন যেমন সুন্দর পরিবেশ আছে তা যেন সবসময় থাকে।

জাহাঙ্গীর আলম অপু নামে এক অভিভাবক বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেকদিন ধরেই সুনামের সাথে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন একটি মহল বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে বসার জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমরা চাই প্রধান শিক্ষক যেভাবে এতদিন সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন আগামীতেও তেমন চলবে।

বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন এমন অভিযোগ করেছে। শাখাওয়াত হোসেন মুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে তাকে সভাপতি পদ দেয়া যায়নি। এরপরেও তারা বিভিন্ন সময়ে আমার অফিসে এসে আমাকে হুমকিও দিয়ে গেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ