
খাইরুল হাসান, নবীনগর: গরমের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এতে বাসিন্দারা যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. তারিফুল ইসলাম খান বলেন, “এখন লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আজ চারবার বিদ্যুৎ গেছে। যখন যায় তখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা থাকে না। গতকাল সোমবার পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল।”
প্রায় একই ধরনের কথা বললেন রোহান ট্রেডার্সের মালিক মো: জুয়েল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গরম বাড়তে থাকার মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে নবীনগর এলাকায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসা শুরু হয়েছে। দিনের মত রাতেও বিদ্যুৎ থাকছে না অনেক সময়। মাধ্যমিক পড়ুয়া নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জানান, দিনের বেশিরভাগ সময় স্কুলে থাকি। কিন্তু, সন্ধ্যার পর থেকে প্রায়ই বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি না।
নবীনগরের সংবাদকর্মী খাইরুল হাসান বলেন, “লোডশেডিংয়ের কারণে অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখা যাচ্ছে না। ভয়াবহ লোডশেডিং। কখনও কখনও দিনে-রাতে মিলে সাত-আটবারও যায়।”
নবীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম অফিসে উপস্থিত না থাকায় তার মোবাইল ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।