খাইরুল হাসান, (নবীনগর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া: অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে নামতে শুরু করেছে শীত। আর তাই খোলা মাঠের জমিতে কোর্ট কেটে লাইটের আলোয় চলছে খেলা। র্যাকেটের বাড়ি খেয়ে হাওয়ায় উড়ছে কর্ক।
কেউ সমস্বরে পয়েন্ট গুনছেন, কেউবা সুযোগ পেয়ে সজোরে ‘চাপ’ বসিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষ দলের কোর্টে। কোর্টের পাশে র্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে অন্যান্য খেলোয়াড়, দর্শক। র্যাকেটের বাড়ি আর দর্শকের হাত তালিতে মুখর পুরো এলাকা।
এ চিত্র নবীনগর উপজেলা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুরে। শীতের আগমনী বার্তায় তিতাসের কোল ঘেঁষা গ্রামটির শিশু, কিশোর, যুবকসহ মধ্য বয়সীরা এখন ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছেন।
শীতের সন্ধ্যায় পাড়া কিংবা মহল্লায়, শহর কিংবা গ্রামে ব্যাডমিন্টন খেলার এ চিত্র খুব পরিচিত। শীত এলেই বাড়ির আঙিনা বা অন্য কোথাও জমে ওঠে এই মৌসুমি খেলা। সন্ধ্যা নামার পরপরই র্যাকেট নিয়ে মাঠে হাজির হন অফিস ফেরত কর্মজীবী ও স্কুল কলেজর শিক্ষার্থীরা। তাদের হই হুল্লোড়ে মুখর থাকে পুরো এলাকা।
নবীনগরে যুব সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার পর থেকেই ব্যডমিন্টন খেলায় মেতে ওঠেন। বিশেষ করে রাত ৯ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই খেলায় অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা থাকে বেশি।
বুধবার সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছে শিশু কিশোর ও যুবকেরা। ব্যাটমিন্টন নেটের দুই পাশের খুঁটিতে বিদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে খেলছেন তারা।
রিফাতুল হাসান নামের একজন খেলোয়াড় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন আমার খুবি প্রিয় খেলা। শীতের শুরুতেই আমরা এই খেলা শুরু করেছি। প্রতিদিন বিকেলে এখনে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসি।’
অপর খেলোয়াড় সদ্য নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলেন, ‘এবার পরীক্ষা শেষে হওয়ায় এখন লেখাপড়ার কোনো চাপ নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে ব্যাডমিন্টন খেলতে চলে আসি।’
ব্যাডমিন্টন কোর্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দর্শক বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এখানে খেলা দেখতে আসি।’
আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক এম. তারিফুল ইসলাম খান জানান ‘আমাদের এই এলাকাটি তিতাসের কোল ঘেঁষা হওয়ায় মাদকের ভয়াবহতা কম। তাই শীত আসলেই বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়রা আমাদের এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলতে আসেন। খেলাধুলার মধে ডুবে থাকলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে।’