
মো. মাকসুদুর রহমান: শেরপুরের কোর্ট চত্বরে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দৃশ্য। এক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী মাবিয়া প্রেমিক সবুজ মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোর্টে হাজির হন বিয়ে করতে।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার আপন ভাই ইব্রাহিম। ভাই হিসেবে শেষ চেষ্টা হিসেবে বোনকে ফিরিয়ে আনার জন্য কোর্ট এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে খুঁজে পেয়ে মারিয়াকে জড়িয়ে ধরে থামাতে চান, যাতে পালতে না পারে।
ঠিক তখনই ঘটে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। মারিয়া চিৎকার করে ওঠে বাঁচাও, বাঁচাও। আশেপাশের লোকজন না বুঝে ভাবেন, অপহরণ বা সহিংস কিছু ঘটছে। আর সেই ভুল বোঝাবুঝিতেই শুরু হয় গণপিটুনি। ভাই ইব্রাহিমকে ঘিরে ধরে মারতে থাকে উত্তেজিত জনতা। ইব্রাহিম সবাইকে থামতে বললেও কেউ থামেনি।
ভাই মার খাচ্ছেন তবুও বোনকে ছাড়ছেন না। শেষ পর্যন্ত নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান মাটিতে। এই সুযোগে প্রেমিক সবুজ মিয়া মারিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে যখন আসল ঘটনা প্রকাশ পায় তখন অনেকেই মাথা নিচু করে স্বীকার করেন, ইব্রাহিম অপরাধী ছিল না। তিনি ছিলেন এক অসহায় ভাই। যিনি বোনকে বাঁচাতে পরিবারের মান-ইজ্জত রক্ষার শেষ চেষ্টা করছিলেন।