
খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে টিকটকের মাধ্যমে এক যুবকের (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক মাদ্রাসাছাত্রীর (১৭)। পরে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেন ওই যুবক। রোববার অপহরণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেন।
এরপর পুলিশ রোববার সকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং তাকে অপহরণের অভিযোগে হওয়া মামলায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মতিউর রহমান (২৬)। তার বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসাছাত্রী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সে একই এলাকার একটি মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে মতিউর রহমানের প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে এবং পরে মুঠোফোনে পরিচয় হয়। পরে বিভিন্ন সময় মতিউর রহমান ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ১২ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসার সামনে গেলে মতিউর রহমান ও তার দু–তিনজন সহযোগী ওই ছাত্রীকে জোর করে সিএনজচালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে অজ্ঞাত একটি স্থানে আটকে রাখেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ছাত্রীকে না পেয়ে তার বাবা শনিবার সকালে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রোববার ভোরে ওই ছাত্রীর বাবা নবাবগঞ্জ থানায় মতিউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরে থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর রোববার সকালে পুলিশ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে মতিউর রহমানের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও মতিউরকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে মতিউরের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং মতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে মতিউরকে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে। আর একই দিন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।