
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার গুহরোডে। সাংবাদিক সুমন ফেসবুক লাইভে দেখান, পুরানো টাইলস ভেঙে নতুন করে বসানো হচ্ছে, কিন্তু মসলায় সিমেন্টের চেয়ে বালুর পরিমাণ বেশি। এ সময় ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন গালিগালাজ শুরু করলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। স্থানীয়রা জানান, “এভাবে কম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করলে কয়েক মাসেই টাইলস খসে পড়বে।”
লাঞ্ছিত সাংবাদিক সুমন বলেন, “ঠিকাদার শুধু আমাকে নয়, অন্য সাংবাদিকদেরও হুমকি দিয়েছেন। এই দুর্নীতি ও হেনস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবো।” তাঁর ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলে জানান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন বলেন, “তদন্ত চলছে।” তবে ঠিকাদার কুতুব উদ্দিনের ফোন বারবার বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি। পৌরসভার এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ আগেও এসেছে।”
সময়চিত্র ‘র সম্পাদক এম ফয়জুল হক শিমুল বলেন, “সাংবাদিকতা পেশাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা অসহনীয়। দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কালবেলা কার্যালয়ে সমর্থন সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকরা এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।