শুক্রবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফুলছড়িতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

রিপন মিয়া, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা): মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে কমিনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ড়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া) প্রকল্পের আয়োজনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চর ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে সাইকেল প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে চর এলাকায় কিশোরী, নারী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক বার্তা সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে অংশগ্রহণ করে। চর ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রিয়া প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন এর পরিচালনায় এবং ফুলছড়ি ইউনিয়নের ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য ও উপজেলা জিকা কমিটির সদস্য আকতারা বানু’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সোলার প্রজেক্ট (এসকেএস ফাউন্ডেশন) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার হাসিনা পারভীন, এসকেএস ফাউন্ডেশনের কমিনিকেশন অফিসার প্রদীপ রায, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের ক্রিয়া প্রকল্পের নারী গ্রুপের সদস্য লাভলী বেগম, হামিদা বেগম, জাহানারা বেগম, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গনমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। নারী কৃষক ও নারী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানিধাকার নিশ্চিত করতে হবে। নারীর অধিকার বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। সেই থেকে শতাব্দির বেশি সময় ধরে পালিত হয়ে যাচ্ছে দিবসটি। কর্ম ঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটাধিকারের দাবী থেকেই উদ্ভুত হয় নারী দিবসের ধারণা। ১৯০৮ সালে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউওয়ার্কের রাস্তায় নেমে ছিল। বক্তরা আরও দাবি করেন, মজুরিবিহীন গৃহস্থালীর কাজে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানচর এলাকায় নারী বান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ও নির্মাণের দাবি, চরের নারীদের ভুমির মালিকায় না থাকায় তারা কৃষিভুর্তুকিসহ সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই সুবিধা দিতে হবে, নারীকে কৃষক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে, নারী শ্রমিককে ন্যায্য মজুরি দিতে, চরের সুবিধা বঞ্চিত নারীদেরকে তথ্য ও প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্তকরণ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *