
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: অনুমিতভাবে পুনরায় বিসিবির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সোমবার রাজধানীর পাঁচ-তারকা হোটেল সোনারগাঁওতে পরিচালক পদের নির্বাচনের পর সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ধারণার বাইরে সেখানেও কোন চমক ছিলো না।
নির্বাচন কমিশনার কাজী নজরুল ইসলাম এই খবর নিশ্চিত করেন। সোমবার দিনে পরিচালক নির্বাচনের পর সন্ধ্যার পর হয় সভাপতি নির্বাচন। নির্বাচিত পরিচালকদের সর্বসম্মতি ক্রমে ফের সভাপতি হয়েছেন বুলবুল। তার বিপক্ষে আর কোন প্রার্থী লড়াই করতে চাননি।
চার মাস আগে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বিসিবিতে পরিচালক হয়ে এসে সভাপতি হন বুলবুল। তখন তিনি বলেছিলেন, বিসিবিতে তিনি এসেছেন, ‘কুইক টি-টোয়েন্টি’ খেলতে। নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা তার নেই বলেও জানিয়েছিলেন। এরপর বারবার নিজের অবস্থান বদল করেন বাংলাদেশকে প্রথম বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া বুলবুল। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জিতে চার বছরের জন্য বিসিবির সর্বোচ্চ পদে বসলেন তিনি।
একই দিনে দুজন সহ-সভাপতিও নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন ফারুক আহমেদ ও মোহাম্মদ শাখাওয়াত। এই দুজনের বিরদ্ধেও কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
বুলবুলের সভাপতি হওয়ার আভাস কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিলো। বিএনপিপন্থী বলয় থেকে তামিম ইকবাল সভাপতি পদে লড়তে চেয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে তার প্যানেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
তামিম সরে যাওয়ার পর বুলবুলের পথে আর কোন বাধা ছিলো না। জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেতে কাউন্সিলর বেছে নেওয়া হয়, সেটা নিয়ে ছিলো বিস্তর বিতর্ক। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে শীর্ষ অনেক ক্লাব সরে যাওয়ায় সেখানেও বুলবুলের বলয়ের ব্যক্তিরাই ছিলেন। ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ জনের পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ছিলেন ১৭ জন, এরমধ্যে আগের দিন সরে যান আরও তিনজন। ১৪ জনের মধ্যে কোন ১২ জন নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এই ধারণা কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিলো।
নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে বুলবুলের একক প্রভাব থাকায় তার সভাপতি হওয়া ছিলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।