মঙ্গলবার, ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কমিশন গঠন করা হউক : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড ছুঁড়ে মেরেছিলেন। সেদিন সংগ্রামী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী শাহাদতবরণ করেন। সেই নারকীয় হামলার পেছনের কারিগর ছিলেন তারেক রহমান। তাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবি জানাই। একইসঙ্গে দাবি জানাই স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কমিশন গঠন করা হউক। তাহলে কারা কারা পরিকল্পনাকারী-ষড়যন্ত্রকারী ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। কিন্তু নেত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইদানীং অনেকে কমিশন গঠন করবে বলে আশ্বাস দেয় কিন্তু বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হয় না।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত এই দাবি পক্ষে আমি কথা বলে যাবো।
২১ আগস্ট শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যারা স্টেশন, পৌরসভা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, আল মামুন সরকার, রুবেল, শোভনের বাড়ি পুড়িয়েছে তারা অন্ধকারের সরীসৃপ। সেই সময় ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের পর থেকেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে আসছি। এখনও আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি। তাহলেই অন্ধকারের সরীসৃপদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা সহজ হবে।
তিনি এ সময় সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সামনে বলেন, সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহর নির্দেশে তাণ্ডবের ঘটনায় আপনারা আমার সাথে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান কিনা তখন সকলে সমর্থন জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা জনতার রায়কে লিখনীর মধ্য দিয়ে সরকারকে অবহিত করবেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বড় সমাবেশ দেখে আননন্দিত হবেন না। আপনাদের অসর্তকতায় নিমিষেই বড় সমাবেশ বিশৃঙ্খলা সমাবেশে পরিণত হতে পারে। কারণ এই দলের ভেতরও অন্ধকারের সরীসৃপ হেফাজত ও সাঈদীর অনুসারীরা ঢুকে পড়েছে। তাদের শনাক্ত করে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু কখনও মৌলবাদী-জঙ্গীবাদীদের সঙ্গে আপোষ করেননি আমরাও করব না। বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ না দিয়ে যেতেন তবে আমাদের উর্দু বা হিন্দি ভাষায় কথা বলতে হত। তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেই পৃথিবীতে বাংলা ভাষার একটি রাষ্ট্র রয়েছে। আমরা বাঙালি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। যতদিন বাংলাদেশের অস্থিত্ব থাকবে ততদিন বাংলা ভাষা থাকবে বাঙালির রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থাকবে।
জেলা আওয়ামী লীগ ১ম সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, জেলা জজ আদালতের পিপি এড.মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যা ড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড.শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড.সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ