সুমন আল-মামুন, হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ): ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন(২৬) নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই প্রেমিকা অনশন করছেন।
শনিবার বিকালে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন শুরু করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে এই দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
জানা যায়, শনিবার বিকাল ৫টায় দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া আবুল কাসেমের মেয়ে রুনা বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন।
রুনার দাবি শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল।
কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
এ কথা শুনে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুরের মেয়ে সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়ি আসেন। গত দুই মাস যাবৎ শাহীন সাদিয়ার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বাড়িতে এসে দুই তরুণীর অনশন করার ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা রুনা যায়যায়কালকে বলেন, শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে এসেছি। আমি তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না। শাহীন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে, তাও আমার কোনো সমস্যা নেই।
অন্যদিকে সাদিয়া খাতুন যায়যায়কালকে বলেন, শাহীন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলেছে। এর আগেও আমরা দুজন বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শাহীনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আমি তো ওকে ভালোবাসি।
তিনি আরও বলেন, শাহীন আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিল। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। তাই আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহীনের বাড়িতে এসেছি।
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শাহিন বিভিন্ন জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়াত। এর আগেও এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।
হলিধানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোশ কুমার বলেন, আমার ওয়ার্ডের শাহীনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে এসেছে এটা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা ৩ পরিবারকে নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছি।