
খান মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে চলছে ঘুষ-বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি আর দালালদের দৌরাত্ম্য।
অভিযোগ উঠেছে, ১৮ একর সরকারি খাস জমি টাকার বিনিময়ে মালিকানা করে দেওয়া, পর্চা ও নকশা সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিনগুণ দামে বিক্রি করা এবং মাঠ জরিপের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। এসব ঘুষ-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে দালাল আফজাল, খাদেমুল, মোস্তফা, জাভেদ বিহারি, নাজমুল, আরিফ এবং নৈশপ্রহরী মুনসুর আলীর সহযোগিতায় অফিসের ড্রাফ্টসম্যান সাইদুল ইসলাম।
কসবা সাগরপুর মৌজায় তদন্তে জানা যায়, প্রায় ১৮ একর সরকারি খাস জমি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পর্চা করে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে মূল ভূমিকায় রয়েছেন ড্রাফ্টসম্যান সাইদুল ইসলাম ও তার সহযোগী দালাল খাদেমুল।
উপজেলার বরগা, গংগাদাসপুর, শৈলান ও গংগাপুর মৌজায় গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নির্ধারিত ১০০ টাকার পর্চা বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, আর ৫০০ টাকার নকশা বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। শুধু তাই নয়, মাঠ জরিপের সময় স্থানীয়দের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে সরকারি আসল পর্চার ফটোকপি, যেখানে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের সই-সিল ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেবাগ্রহীতারা অফিস থেকে পর্চা সংগ্রহ করবেন। মৌজায় গিয়ে পর্চা বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। এসব নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে দালালদের সহযোগিতায় মৌজাগুলোতে গিয়ে পর্চা বেশি দামে বিক্রি করেছেন ড্রাফ্টসম্যান সাইদুল ইসলাম।