
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পদত্যাগ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচনকে ঘিরে শূন্য আসনটিতে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। ১১ ডিসেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পদত্যাগ করায় এই আসনটি শূন্য হয়।
ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া দলীয় প্রার্থিতা পেয়েছেন।
তবে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া আসনটিতে কে মনোনয়ন পাবেন, সে সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন (সরাইল-আশুগঞ্জ) তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।
মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন গত জাতীয় নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, স্বাশিপের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার।
এ ছাড়া সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফি উল্লাহ, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন।
পাশাপাশি সরাইল আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু এবং ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী মনোনয়ন চাইছেন।
তাঁরা সবাই নিজের মতো করে তফসিল ঘোষণার পরই গ্রামগঞ্জে গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রার্থীদের প্রত্যাশা ও দাবি যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের নৌকা প্রতীক দেয়া হবে।