শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Mujib

/

এর সর্বশেষ সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল

মো: সুমন খান,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোচনায়
মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনিত) আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে নিজের আদর্শ, মেধা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে চান এই প্রার্থী। এজন্য সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব।

দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকাজুড়ে তিনি বেশ
প্রশংসনীয়।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল ক্লিন ইমেজের একজন ত্যাগী নেতা। এলাকায় তার ব্যাপক জনিপ্রয়তা রয়েছে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসন থেক আওয়ামী লীগের জয়লাভ অনেকটা সহজ হেব। তিনি উদীয়মান নেতা। তিন সজ্জ্বন
ব্যক্তি। তার এবং তার পরিবারের কোনো দুর্নাম নেই।

রাজনীতিতে পরিক্ষিত, তৃণমূলে নেতাকর্মীদের প্রিয় মুখ, নৌকার মনোনয়ন পেলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন তিনি।

আব্দুলাহ আল মামুন এমন একজন মানুষ ছোট বেলা থেকে তিনি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করতেন সেই স্বপ্নকে লালন করে ভবিষ্যতে একটি সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষে পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। কৈশর থেকেই তার ভিতরে দেশপ্রেম, মানবিকতার প্রবনতা লক্ষ করা যায়। ছাত্রজীবনে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৭৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা-মৃত আলহাজ্ব খোরশেদ আলম বেপারী ও মাতা-জেসমিন আলমের ৪ সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। আব্দুল্লাহ আল মামুন পারিবারিক সুত্রেই ছোটবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উজ্জীবিত ছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই পরাশুনার পাশাপাশি ছাত্র লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৮৮ সালে সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৮৯ সালে আলহাজ্ব এম এ খালেক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি হন।

সেখানে তিনি অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন এবং ১৯৯২ সালে মাকাহাটি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনিতে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে ১৯৯৪ সালে কৃতিত্বের সহিত বানিজ্য বিভাগে এস এস সি পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকা সিটি কলেজ বানিজ্য বিভাগে এইচ এস সি পাশ করেন। ১৯৯৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০০১ সালে বিএসএস অনার্স (দ্বিতীয়) এবং ২০০২ সালে এমএসএস অর্থনীতি (দ্বিতীয়) ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অর্থনীতি বিভাগের ইয়ার কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন, পরবর্তিতে আর্থনীতি বিভাগ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ- সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন।

এই সময় জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করেন। ২০০৪ সালে ২ আগষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রি শেখ হাসিনার উপর বিএনপি জামাত জোট সরকারের বর্বর গ্রেনেড হামলার সময় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে উপস্থিত ছিলেন এবং আহত নেতা কর্মিদের যে কয়জন ছাত্রলীগ কর্মি হাসপাতালে নিয়ে যান তার মধ্যে সে অন্যতম। ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট সরকারের দুঃশাসন ও মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন সরকারের সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন।

১/১১ এর সময়ে তিনি শত নির্যাতন, নিপিড়ন সহ্য করে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সাহসি ভূমিকা পালন করে সর্বমহলে প্রশংসিত হন।

২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কতৃক নির্বাচন পরিচালনা টিমের একজন সদস্য হয়ে তিনি রংপুর জেলা সফর করেন এবং নির্বাচনে সফলভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর রিপোর্ট করে প্রশংসিত হন।

২০১৬ সালে ২২ শে অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দপ্তর উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচন পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ উপকমিটির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর উপ-কমিটি, তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৯৪ সাল থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সৎ, ত্যাগী ও দক্ষ কর্মী হিসাবে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন এবং তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে পালন করে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার রয়েছে বিশাল সু-পরিচিতি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন ছোট বেলা থেকেই সৎ, কঠোর পরিশ্রমী, নির্ভীক, নম্র, ভদ্র, মিশুক, পরোপকারী, আন্তরিক, দরিদ্র নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের বন্ধু হিসেবে সর্বমহলে রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম।

বৃহৎ পরিসরে সুযোগ পেলে তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে তার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার একজন কর্মী হয়ে দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে মনোয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল বলেন, আমি সেবক হিসেবে সর্বদা জনগেণর পাশে থাকেত চাই।
২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি জামাতের অত্যাচারে মুন্সীগঞ্জের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এলাকা ছেড়ে ঢাকা আশ্রয় নেয় ঐ সময় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীর পাশে ছিলাম এবং তাদের সহযোগিতা করেছিলাম। আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে দলের সকল নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপাকে মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনটি উপহার দিব ইনশাল্লাহ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *