মো. মাইনউদ্দীন, সন্দ্বীপ: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বিছিন্ন ইউনিয়ন উড়ির চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নবী গ্রুপের প্রধান নবীর দুই পায়ের রগ কেটে ও দুই চোখ তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন গ্রুপের প্রধান শাহীনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শনিবার রাতে বারআউলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শাহীন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নবীকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। একপর্যায়ে নবীকে ধরে নিয়ে সন্দ্বীপের উড়ির চর ও নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ সীমানায় ৬নং ওয়ার্ডের চরবালুয়াতে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় এবং দুই চোখ তুলে নেয় শাহীন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। শাহীনের নামে সন্দ্বীপ থানায় ডাকাতি, হত্যা, দস্যুতা ও অস্ত্রসহ আটটি মামলা এবং নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ থানায় ডাকাতি, হত্যা ও বন বিভাগের দশটি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শাহীন গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড আশ্রাফসহ শতাধিক সন্ত্রাসী। শাহীন গ্রুপের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সন্দ্বীপের উড়ির চর ও কোম্পানিগঞ্জের চরবালুয়ার জনজীবন। সম্প্রতি উড়িরচরের বাতানি বাজারের আবদুল বাতেন এর ছেলে মুমিনকে জিম্মি করে দুই লাখ টাকা চাঁদা নেয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এছাড়াও স্থানীয় কৃষক আরিফ এর কাছ থেকে ১৭০ মণ রাজাশাইল ধান নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য এক লাখ ৮১ হাজার টাকা। সুমন প্রকাশ বুলেট সুমনের ৭৬০ মণ যার বাজার মূল্য আট লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীর নামে আরেক চাষির ১৩৫ মণ যার বাজার দর এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা। জিলাপিওয়ালা সহ অনেক চাষিকে জিম্মি করে ধান নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। চাঁদা দিতে না চাইলে মারধর, অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের শিকার ছিল এখানকার বাসিন্দাদের নিত্য সঙ্গী। আর এসব কালেকশন করে শাহীন গ্রুপের অস্ত্রধারী সোহেল প্রকাশ বোমা সোহেল নামের একজন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। থানায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।