শনিবার, ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সীতাকুণ্ডে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে মারধর, থানায় অভিযোগের পর স্বামীকে অপহরণ

মো: রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়া এলাকায় বখাটে প্রতিবেশীর দ্বারা স্ত্রী জোবাইদুর নাহারের (৪০) উপর হামলার একদিন পর স্বামীকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।

রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন এলাকা থেকে একদল সন্ত্রাসী সুলতানকে ধরে নিয়ে যায়। তার স্ত্রীকে অশ্লীল গালিগালাজ ও হামলার বিষয়টি নিয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অভিযোগ করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে একই ওয়ার্ডের প্রতিবেশী জিহান (২০), পিতা- হান্নান। এরপর থেকে নানাভাবে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল বিবাদী জিহান ও তার বাবা হান্নান।

এই বিষয়ে হামলার শিকার স্ত্রী জোবাইদুর নাহার বলেন, ১২ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে বিবাদীরা আমার বাসা বাড়ির টিনের উপর কাপড় শুকাতে গিয়ে আমার টিনের উপর জোরে শব্দ করে। ওদের শব্দ শুনে আমি তাদের জিজ্ঞেস করি কেন এমন করছো? কিন্তু বিবাদীগণ বিষয়টি সোজাভাবে না নিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি গালিগালাজ করতে থাকে। তারা গায়ের জোরে বলে একশ একবার বলব তোমাদের কি? তখন আমার স্বামী বুঝিয়ে বলতে গেলে ১ নং বিবাদী আমার স্বামীকে মোটা কাঠশাল দিয়ে মারতে আসে।আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমার গায়ের উড়না ফেলে দিয়ে শ্লীলতাহানি করে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তারা আমাকে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আমি মাটিতে পড়ে যায়। পরে সেখানে একজন বয়স্ক বৃদ্ধ এগিয়ে আসলে আমার স্বামী প্রাণে বেঁচে যান। বিবাদীগণ সংখ্যায় বেশি হওয়ায় কোনরকম প্রতিবাদ করতে পারিনি। বিবাদীগণ আমাকে এমনভাবে মারে যে আমি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হই। পরে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই ঘটনার একদিন পর ১৩ জুলাই রাত এগারোটার দিকে আমার স্বামীকে বিবাদীরা তুলে নিয়ে যায়। আমার পরিবার চরম হুমকির মুখে।

এই বিষয়ে জোবাইদুর নাহারের স্বামী সুলতান বলেন, আমার স্ত্রীর গায়ে হামলার ঘটনায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং গ্রামের গণমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে বিবাদীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। জনসম্মুখে ধরে নিয়ে যাওয়ার ফলে স্থানীয়রা ও এলাকার লোকজন আমাকে ছাড়িয়ে আনে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আছি এবং আমার পরিবারের উপর যে কোন মুহূর্তে হামলা হতে পারে। আমরা গরিব বিধায় কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।

এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার একদিন পরও কোনো সাড়া মেলেনি পুলিশের। থানায় খবর নিতে গেলে তারা অভিযোগের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *