শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা

যায়যায় কাল প্রতিবেদক: মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন,যে দেশ  শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হতে হবে শিশুদের জন্য। তিনি বলেন,  দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষা,  বসবাসের জায়গা করে দেয়া, সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এলাকার কমিউনিটির মাধ্যমে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।  তাহলে সারা পৃথিবী জানবে বাচ্চারা নিরাপদ, বাচ্চারা সুস্থ এবং বাচ্চারা গড়ে উঠেছে একটি দায়িত্বশীল পরিমণ্ডলে।

তিনি আজ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবে একটি নিরাপদ আশ্রয় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ সকল শিশুর অধিকার’ পথশিশুদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধারায় ফেরানো শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ছামছুল আলম এনডিসি পিএসসি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম প্রমূখ।
উপদেষ্টা শারমীন  এস মুরশিদ বলেন, আমাদের দেশে পথ শিশুদের সমস্যা বহুদিনের। আমি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রান্তিক পর্যায়ে অবহেলিত নারী ও শিশুদের লালন, পালন, নিরাপত্তা এবং জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য নির্দিষ্ট উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আমার নৈতিকতার দিক থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি অফিসকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ঢাকা শহরে কি পরিমান বাচ্চারা ভিখারী, রাস্তায় থাকতে কেন বাধ্য তারা, একটা জরিপ করার জন্য।
মন্ত্রণালয় যে জরিপটা করেছে সেটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, যে সমস্যাটা আমরা পেয়েছি তা মোকাবেলা করতে কয়েকটি ক্ষেত্র লাগবে। তার মধ্যে পুলিশকেও অংশগ্রহণ থাকতে হবে। চট্টগ্রাম শহরে প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে যে, ৩৭ টি স্পটে ২৫০ থেকে ৩০০ শিশু রাস্তায় বসবাস করছে। আমি দেখেছি এরা পথে বসে বসে প্লাস্টিক থেকে ইনহেইল করে নিঃশ্বাস নেয়, নেশা করে।  এই সমস্ত বাচ্চাদের দায়িত্ব কি আমরা নিতে পারি না । তিনি বলেন, আমি বলবো যে, নতুন বাংলাদেশকে যারা উপহার দিলো সে সকল তরুণ বাচ্চাদের ৩৭টি স্পট কমিউনিটিতে কাজে লাগাতে হবে। পথ শিশুদের উন্নয়নে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে তাহলেই বাচ্চারা সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *