
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় সুলতানপুর গ্রামে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ উঠেছে, গুচ্ছ গ্রাম আবাসনের বাসিন্দা মিরা কাশ্মীরী, মালেক চৌধুরী এবং মো. আ. সাত্তার মিলে আশা আক্তার নামের এক মাকে তার স্বামী ও সন্তানদের কাছ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
তার স্বামী মো. আ. মজিদের অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে মোটা অংকের টাকার লেনদেন।
আশা আক্তার, যিনি নাফানগরের ১ নং ইউনিয়নের বাসিন্দা, বর্তমানে চরম দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তার স্বামী মো. আ. মজিদ এবং তিনটি শিশু কন্যা সন্তান জান্নাতি (৪), ফুলসূরাতী (৪), এবং মীম (৩)-এর কাছ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, গুচ্ছ গ্রাম আবাসনের মিরা কাশ্মীরী, মালেক চৌধুরী এবং মোঃ আঃ সাত্তার পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা টাকার লোভে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই অমানবিক কাজ করেছেন। তারা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে আশা আক্তারকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন।
আশা আক্তার বর্তমানে একাকীত্বে এবং চরম মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। তার ছোট তিনটি কন্যা সন্তান মাকে ছাড়া অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে, মাকে জীবিত অবস্থায় তার সন্তানদের এতিম বানানো মানবিকতার সব সীমা অতিক্রম করেছে।
মিরা কাশ্মীরী, মালেক চৌধুরী, এবং মো. আ. সাত্তার, তিনজনই গুচ্ছ গ্রাম আবাসন, বড় সুলতানপুর, নাফানগর, ১ নং ইউনিয়ন, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুরের বাসিন্দা।
বোচাগঞ্জ উপজেলার মানুষ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, “যারা তিন কন্যা সন্তান জান্নাতি, ফুলসূরাতী এবং মীমকে মায়ের জীবিত থাকা সত্ত্বেও এতিম বানিয়েছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”