
খাইরুল হাসান: বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে, ভোররাতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে সংঘটিত এই ঘটনা জাতির ইতিহাসে চিরকাল কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।
হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শহীদ হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ, ভাইসহ পরিবারের আরও অনেকে। সেই রাতে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও নেতৃত্বের পুরো পরিবার প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়—এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নবীন রাষ্ট্রের নেতৃত্বকে নির্মূল করার গভীর ষড়যন্ত্র। বিশ্বের ইতিহাসে রাষ্ট্রপ্রধানের সপরিবারে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নজির বিরল।
প্রতিবছর ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কালো পতাকা ওড়ানো, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, মিলাদ এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতি এই দিনটি স্মরণ করে।
আজ, ৫০ বছর পরও, ধানমন্ডির সেই বাড়ি—বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর—নীরবে বহন করছে ইতিহাসের সেই রক্তাক্ত ভোরের সাক্ষ্য।