রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক দোকান কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এন্তাজুল হক বাবু।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার প্রয়াত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) এবং একই উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। তিন বছর দণ্ড পাওয়া মেহেদী হাসান রকি (২৫) বাঘা উপজেলার জোতচৌকিপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে। নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারে মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
পিপি এন্তাজুল হক বাবু বলেন, জহুরুলের কাছ থেকে বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন নেয় মাসুদ রানা ও শাওন। জহুরুল টাকার জন্য তাদের চাপ দিতেন। কিন্তু তারা টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা বলে জহুরুলকে আম বাগানে ডেকে নেন শাওন ও মাসুদ। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও ২৫ হাজার টাকা লুট করেন শাওন ও মাসুদ। পরে মোবাইল ফোনগুলো মেহেদীর কাছে রাখেন তারা।
তিনি বলেন, ঘটনার পরদিন তেতুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জহুরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান পিপি।