বৃহস্পতিবার, ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

নবীনগরে বাঙ্গরা বাজারে উচ্ছেদ অভিযান, ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি

শাহীন রেজা টিটু , নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পাক বাঙ্গরা বাজারে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। আচমকা এক উচ্ছেদ অভিযানে সর্বস্ব হারিয়ে বাজারের শত শত ব্যবসায়ী এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই আচমকা এ ভয়াবহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া বাজারের প্রায় ২৫০ দোকানি দোকান থেকে তাদের কোনো মালামালই সরাতে পারেননি। এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তথা সওজের দাবি, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও সড়কের দুই পাশে থাকা সরকারি জায়গা থেকে দোকানগুলো না সরানোর কারণে যথাযথ নিয়ম মেনেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশে ২৫০ অবৈধ দোকানপাঠ উচ্ছেদ করা হয়।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ কুমিল্লা সড়কে অবস্থিত বাঙ্গরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সওজের জেলা কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে একাধিক বড় বড় ক্রেন দিয়ে সড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ২৫০ পাকা, অর্ধপাকা দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় আতংক ছড়িয়ে পড়া। দোকান মালিক ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সকাল ৯-টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা নাগাদ সড়কের দুই পাশে থাকা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ২৫০ দোকান পুরোপুরি গুড়িয়ে দেয়া হয়।

বাঙ্গরা বাজারের সভাপতি রবিউল আওয়াল রবি চেয়ারম্যান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘কোনো ধরনের বলা নেই, কওয়া নেই, আচমকা ম্যালা পুলিশ ও বড় বড় ক্রেন নিয়ে আইসা রাস্তার দুই পাশের শত শত দোকান কয়েক ঘন্টার মথ্যে পুরোপুরি ভাইঙ্গা ফালাইল। কোনো দোকানি কারও দোকান থেকে এক টাকার মালামালও সরাইতে পারে নাই। এই আচমকা অভিযানে ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হইছে। ব্যবসায়ীরা এখন সর্বশান্ত।’

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একবার দু’বার নয়, অসংখ্যবার বড় এই বাজারে রাস্তার দুই পাশের সরকারি জায়গা থেকে আড়াইশ দোকানদারকে নোটিশ দেয়া হয়েছে, একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশে যথাযথ নিয়ম মেনেই আজ উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান বাদল বলেন, ‘আমি অবৈধ স্থাপনার পক্ষে নই, তবে বারবার কেন বাঙ্গরা বাজারকে টার্গেট করা হচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। পার্শ্ববর্তী গাজিরহাট বাজার বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে। ওই বাজারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা আদৌ গ্রহণ করা হয় নাই।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ