রবিবার, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফটিকছড়িতে সম্পত্তি দখলে নিতে বাগানে অগ্নিসংযোগ-মারধর

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:  চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সম্পত্তি দখলে নিতে বাগানে অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরখিল বড় হুজুরের মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ভুক্তভোগী মো. হান্নান উদ্দীন ৭ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে বুধবার ফটিকছড়ি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- বাদশা মিয়ার ছেলে মাহাবুবুল আলম, আবু বক্করের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, দিদারুল আলম, বাবর, বদিউল আলমের ছেলে আবুল বশর ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. সেলিম।
অভিযোগের সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী হান্নানের মৌরশি সম্পত্তি ও খামার দখল করার উদ্দেশ্যে বার বার হামলা ও জবরদখলের চেষ্টা করেন। এর আগে, রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে ১৫ টি গরু হত্যা করে খামারেরর মালামাল লুটপাট করেন। এছাড়াও বিভিন্নভাবে হান্নান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা করেন। গত মঙ্গলবার একইভাবে তাঁর গাছের বাগানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং তাঁর উপর অতর্কিত হামলে পড়ে উপর্যুপরি লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হান্নানকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেন।
আহত ভুক্তভোগী মো. হান্নান উদ্দীন বলেন, ‘আমার দখলীয় জায়গাটি মৌরশী সূত্রে মালিক আমরা। বিএস মুলে এটি খাস হওয়ায় স্বত্ব ফিরে পেতে এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এই জায়গাটি নিজেদের দাবী করে দখলে নিতে বারবার আমার ওপর হামলা ও সম্পত্তির উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালান। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযুক্ত দিদারুল আলম বলেন, ‘এটি সাজানো অভিযোগ। আমাদের হয়রানী করার মানসে এটি করা হয়েছে। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর থাকা গাছ বাগানে অগ্নিসংযোগ করা এবং বাদীকে মারধর করার বিষয়টি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এলাকার সবাই বিষয়টি জানে। আদালত এটি বিচার করবে।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে বাগানে অগ্নিসংযোগ ও মারধরের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী কোনভাবেই পার পাবেন না।’
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *