
কবির হোসেন, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির নেতাসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার সাকরাইল ও সুলিয়া গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের শোলাকুড়া বাজারের প্রায় ৭০টি দোকান ভাঙচুর হয়েছে।
আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, তানভীর, বিপ্লব, জয়, জাহান, শাহিনুর ইসলাম ও শফিকুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, একটি ওরশের মারামারির সমাধানের জন্য সোমবার দুপুরে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পরে ওই বৈঠকে চলাকালে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের মাথায় হঠাৎ একটি ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল দেয়া হয়। এতে করে মুলিয়া ও সহদেবপুর গ্রামের মানুষজন সাকরাইল গ্রামের মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
একপর্যায়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় সংষর্ষ চলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে প্রায় ৭০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনপির নেতা শুকুর মাহমুদ বলেন, আমি উপজেলার প্রায় গ্রামেই সালিশ করে থাকি। সালিশ বৈঠকে বসার পরে স্থানীয় কিছু পোলাপান হঠাৎ করে আমার মাথায় একটি ইটের ঢিল দেয়। পরে মাথায় রক্ত বের হওয়া দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চলে আসি। আমার সমর্থকদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।