নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজোয়ান ইফতেখারের বিরুদ্ধে ঝাডু মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শতাধিক নারী-পুরুষ এ মিছিল করেন। মিছিল শেষে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেজোয়ান ইফতেখারের অপসারণ ও তার নানা অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে মদন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতা। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা না নিলে অবরোধ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়ার বদলি হওয়ায় দুই মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজোয়ান ইফতেখার।
বিএনপি নেতাকর্মী ও ছাত্র সম্বনয়কদের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর দায়িত্ব পাওয়ার থেকেই তিনি নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। বিএনপির প্রোগ্রাম ও সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধিতা করছেন তিনি। এর মধ্যে মদন পৌরসভায় ওএমএস ডিলার নিয়োগ ও উপজেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রোববার বিকালে তার কার্যালয়ে যান উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেজোয়ান ইফতেখার নেতাকর্মীদের সাথে অসাদাচরণ করেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা সদরে তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন। পরে বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতা ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর অনিয়ম নিয়ে মদন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামন চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে নানাভাবে পাঁয়তারা করছে। আমাদের দলীয় প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কর্মসূচি নিয়ে তিনি ভিন্ন মত দেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে অসাদাচরণ ও তার নানান অনিয়মে অতিষ্ট হয়ে জনতা সোমবার তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আমরা চাই তাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করা হোক। কর্তৃপক্ষক ব্যবস্থা না নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেজোয়ান ইফতেখার জানান, ‘পৌরসভায় ৬টি স্থানে ডিলার নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ১৬টি আবেদন পেয়েছি। রোববার বিকেলে আলম চেয়ারম্যান (উপজেলা বিএনপির সভাপতি) ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে অনৈতিকভাবে ৩টি ডিলার দিয়ে দিতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় একটি মহল ভুল বুঝে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে।’