মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহী-৬ আসন, আলোচনায় আনোয়ার হোসেন: পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে বাড়ছে জনসমর্থন

রাজশাহী ব্যুরো: ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে চারঘাট বাঘার নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ ও এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন মানুষের দারে দারে অর্থাৎ চারঘাট- বাঘার সাধারণ মানুষ-সহ সকল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেন। এবং চারঘাট বাঘায় বিপুল পরিমাণ প্রোগ্রাম করেছেন, কিন্তু কারও কাছে কখনো চাঁদাবাজি করেন না। আমাদের বিশ্বাস তার মতন নেতা যদি ধানের শীষের মনোনয়ন পান তবে চারঘাট বাঘার অনেক উন্নয়ন হবে৷ কথা গুলো বলছিলেন চারঘাট উপজেলার একজন ত্যাগী নেতা উপজেলার সাধারন সম্পাদক মুরাদ পাশা। যার কথা বলছিলেন তিনি হলেন আনোয়ার হোসেন উজ্জল।
আনোয়ার হোসেন উজ্জল ১৯৭৪ সালে শিপাইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ। তার পিতা মৃত আনিছুর রহমান। করেন ১৯৮৯ সালে তিনি মাধ্যমিক পাড়ি দিয়ে রাজশাহী সিটি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে সারদাহ কলেজ থেকে বি কম, রাবি থেকে একাউন্টিং প্রিভিয়ার ও উত্তরা রয়েল থেকে এম.বি.এ শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ব্যাবসা ও রাজনীতির সাথে জড়িত।
রাজনৈতিক জীবনে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় উঠে আসছে সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জলের নাম। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বিতর্কহীন ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি তাঁকে স্থানীয়ভাবে আলোচনায় এনেছে।
আনোয়ার হোসেন ছাত্রজীবনে ১৯৮৬ সালে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। তাঁর রাজনৈতিক পথচলায় প্রেরণা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তাঁর প্রয়াত মা জাহানা বেগম, যিনি পারিবারিকভাবে বিএনপির আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
চারঘাট ও বাঘা অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের তথ্য মতে, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আতীত-বর্তমানে কোনো অপকর্ম বা বিতর্কিত ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বরং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার কারণেই তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়ছে।
“চারঘাট-বাঘা বাসীর প্রত্যাশা—এমপি হিসেবে হোক এমন একজন ‘ক্লিন ইমেজের’ নেতা, যিনি সৎ, নির্ভরযোগ্য, দূর্নীতি ও বিতর্ক থেকে দূরে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।”
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশের মতে, তিনি দলে শৃঙ্খলা ও তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। এ কারণে তাঁকে একজন “ক্লিন ইমেজের” নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
তবে বিগত সরকার আমলে তাঁর নামে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন। এসব মামলার কারণে তাঁকে কারাবরণও করতে হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা বলেন, বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানির অংশ হিসেবেই এসব মামলা করা হয়েছিল।
তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার আগ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রসঙ্গে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। দলীয় সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত হবে বলে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিমালার আলোকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে কে মনোনয়ন পাবেন, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে আনোয়ার হোসেন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুত রাখছেন এবং নিয়মিত তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে আছি। জনগণের পাশে দাঁড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য। সিদ্ধান্ত কেন্দ্র থেকেই হবে, আমি সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী ০৬ ( চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বজলুর রহমান, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান মানিক, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু।
তবে জমায়াতে ইসলামী থেকে লড়বেন মাত্র একজন। জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নাজমুল হক।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ