হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে ধনকুড়া গ্রামের রাজাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মেম্বার (সামার) নাতি জসিম উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও কিভাবে সারের ডিলার পেয়েছেন তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
খোকন সারের ডিলারশিপ পাওয়ার পর থেকেই সার উত্তোলন না করার ফলে বুল্লা ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক সাধারণ কৃষকরা উন্নত ফসল ফলাতে পারছেনা। যার ফলে কৃষক ও ফসলির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনবছর যাবত সার বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে ধনকুড়া গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক সাধারণ কৃষকরা মাধবপুর উপজেলার সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর খোকনের সারের ডিলার ও সার বিতরণে অনিয়মের উপর ভিত্তি করে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ্য আছে, জসিম উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে সাধারণ কৃষক ন্যায্য স্যার ক্রয় ও বিক্রয় হইতে বঞ্চিতসহ ধনকুড়া ওয়ার্ডের খুচরা সার ডিলার লাইসেন্স থাকা সত্বেও সার ও বিক্রয় হতে বিরতের অভিযোগটি। চলতি মাসে আউস ফসল আবাদে ও সামনে রবি শস্য এবং বুরো ধান আবাদের সময় সাধারণ কৃষকরা সারের অভাবে মারাত্মক ক্ষতি হবে৷ কৃষকরা এলাকার সাধারণ কৃষকের স্বার্থে নতুন অন্য একজনকে সার ডিলার নিয়োগ দিয়ে কৃষকের ফসল রক্ষা করতে সহযোগিতা কামনা করেন।
ধনকুড়া গ্রামের কৃষক মনির মিয়া বলেন, জসিম উদ্দিন খোকন একজন রাজাকারের নাতি। সে ঢাকা এয়ারপোর্টের সরকারি চাকরিজীবী হয়েও সারের ডিলারের নিয়েছেন। খোকন সারের ডিলার নেওয়ার পর থেকে কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ করেনি। তার নামে সারের ডিলার লাইসেন্স থাকলে অন্য আত্মীয় দিয়ে তা চালাচ্ছে। আমাদের ধনকুড়া গ্রামের কোন কৃষকই তার কাছ থেকে সুবিধা পাইনা। প্রায়ই ডিলারের অফিস বন্ধ থাকে। এমন ডিলার দরকার নেই। একজন রাজাকারের নাতি হয়েও কিভাবে সারের ডিলারশীপ পেয়েছেন তা জানতে চাই!
মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির সভাপতি আসানুজ্জামান জানান, খোকনের দাদা মাধবপুরের তালিকাভুক্ত রাজাকার। রাজাকারের নাতি কিভাবে সারের ডিলার পাই। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ডিলারশীপ বাতিল করা হউক।
এসব অভিযোগ মিথ্যে বলে প্রতিবেদককে জসিম উদ্দিন জানান, আমার দাদা রাজাকার না। এলাকার কিছু কৃষক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমি সরকারি চাকরিজীবী না। আমি স্যারের ডিলার নিয়েছি তা সত্য কিন্তু আমার ম্যানেজার সারের ডিলার দেখবাল করছেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল-মামুন হাসান জানান, ইতিমধ্যে জসিম উদ্দিন খোকনকে একটি শোকচ পত্র পাঠানো হয়েছে। সঠিক উত্তর না পাইলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।