
যায়যায় কাল প্রতিবেদক: বছরের দুই মাস পার হলেও তিন কোটির মত পাঠ্যবই এখনও ছাপানো শেষ হয়নি। আর ৬ কোটি বই ছাপানো শেষ হলেও এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে সব বই না পাওয়ায় পড়াশোনায় ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) দাবি করছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা।
স্বাভাবিক সময়ে বই ছাপাতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে শুরু হয় সবকিছু। আগের শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে পরিমার্জন শেষে ডিসেম্বর নাগাদ ৪০ কোটি বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়। সরকার ঘোষণা দিয়েছিল ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
এদিকে ক্লাস শুরু হওয়ার দুই মাসেও সব বিষয়ের বই না পাওয়ায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ৪০ দিনের রোজা ও ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। সব বই না থাকায় বাড়িতে বসেও ঠিকমতো হচ্ছে না পড়াশোনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বই ছাপাতে সময় ক্ষেপণের কারণে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যকার যে পুল সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর অনলাইনের বইয়ের ব্যাপারে বলব যে, শিক্ষকেরা অনলাইনের বই পেলেও শিক্ষার্থীরা তো পাচ্ছে না।’
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, তিন কোটির মতো বই এখনও ছাপানোই শুরু হয়নি। অন্যদিকে ছয় কোটি বই ছাপানো শেষ হলেও সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, কাগজ সংকটের জন্য বই ছাপানো বন্ধ আছে। এনসিটিবির তত্ত্বাবধানে চীন থেকে আট হাজার টন কাগজ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুই হাজার টন এসেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই সব বই ছাপানো শেষ করা যাবে।
এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যাপ্ত কাগজ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। সেই সঙ্গে স্কুল বন্ধ থাকায় বই কীভাবে শিক্ষার্থীরা পাবে তা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা।